প্রত্যয় নিউজ ডেস্ক: ইউরোপের অনেক দেশেই নতুন করে সংক্রমণ বেড়ে গেছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ায় বেশিরভাগ দেশেই কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। এদিকে, ফ্রান্সে করোনার দৈনিক সংক্রমণ অর্ধলাখ ছাড়িয়ে গেছে। যা আগের সব রেকর্ড ভেঙেছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৫২ হাজার ১০ জন। এখন পর্যন্ত দেশটিতে এটাই সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা।
পাবলিক হেলথ ফ্রান্স (এসপিএফ) জানিয়েছে, দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে আরও ১১৬ জন। দেশটিতে করোনা মহামারি শুরুর পর এখন পর্যন্ত সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৩৪ হাজার ৭৬১ জনের।
এদিকে, লাতিন আমেরিকার পর দ্বিতীয় অঞ্চল হিসেবে করোনা মহামারিতে আড়াই লাখ মৃত্যু ছাড়িয়েছে ইউরোপে। গত দুই সপ্তাহে ইউরোপের অনেক দেশেই রেকর্ড কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
শুক্রবার সপ্তম দেশ হিসেবে দশ লাখ করোনার সংক্রমণ ছাড়িয়েছে ফ্রান্সে। দ্বিতীয় দফায় ইউরোপে করোনার প্রাদুর্ভাবে সবচেয়ে বিপর্যস্ত ফ্রান্স। নতুন করে দেশটিতে সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছেই। আর সংক্রমণ ঠেকাতে রাজধানী প্যারিসসহ দেশজুড়ে আবারও রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করেছে দেশটির সরকার। ফ্রান্সে দৈনিক গড় মৃত্যু টানা দশদিন ধরে বাড়ছেই।
সম্প্রতি ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সতর্ক করেছেন যে, করোনার প্রভাব আগামী গ্রীষ্ম পর্যন্ত থাকবে। এক বিবৃতিতে বলেন, তার দেশের লোকজনকে কমপক্ষে আগামী বছরের মাঝামাঝি পর্যন্ত করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করতে হবে।
অপরদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করে বলেছে, করোনা মহামারির কারণে উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত দেশগুলো ভয়াবহ সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে। সংস্থাটির প্রধান তেদ্রোস আধানম ঘেব্রিয়েসুস সাংবাদিকদের বলেন, আগামী কয়েক মাস খুব কঠিন সময়। বেশ কিছু দেশ ভয়াবহ বিপজ্জনক অবস্থার মুখে পড়তে পারে।
রাজধানী প্যারিসের একটি হাসপাতাল পরিদর্শনের সময় ম্যাক্রোঁ বলেন, তাকে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে তাদের ধারণা এই ভাইরাসের উপস্থিতি আগামী গ্রীষ্ম পর্যন্ত থাকবে। ফ্রান্সে নতুন করে পুরোপুরি বা আংশিক লকডাউন জারি হবে কিনা সে বিষয়টি এখনই নিশ্চিত করা সম্ভব নয় বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই তালিকায় ফ্রান্সের অবস্থান ৫ম। ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান বলছে, ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১১ লাখ ৩৮ হাজার ৫০৭। এর মধ্যে মারা গেছে ৩৪ হাজার ৭৬১ জন। তবে ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ১১ লাখ ৩২২ জন।